রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৫

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা


বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা

গত ৯ আগষ্ট ২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শুরু হয়ে গেছে পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দসই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দৌড়ঝাপ। উচ্চ মাধ্যমিকে পাশ করার পর এবার লক্ষ্য ভালো মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া। চলুন দেখে আসি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার্থীদের কেমন যোগ্যতার প্রয়োজন।

বাংলাদেশ প্রকৗশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) : প্রার্থীকে ২০১২ বা ২০১৩ সালে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পেতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিষয় সমূহের প্রতিটিতে জিপিএ ৫.০০ এবং ইংরেজি ও বাংলায় মোট জিপিএ ন্যূনতম ৯.০০ থাকতে হবে। অর্থা সর্বমোট জিপিএ ২৪ থাকতে হবে।

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) : প্রার্থীকে মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে চার বিষয়ে কমপক্ষে মোট জিপিএ ১৮.৫০ এবং গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ এবং ইংরেজিতে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) : প্রার্থীকে মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে চার বিষয়ে কমপক্ষে মোট জিপিএ ১৮.৫০ এবং গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নে সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.০০ এবং ইংরেজিতে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) : প্রার্থীকে মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে চার বিষয়ে কমপক্ষে মোট জিপিএ ১৭.৫০ এবং প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় : প্রার্থীকে মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ সহ গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ এবং তিন বিষয়ে সর্বমোট জিপিএ ১৩.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) : প্রার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় দুটিতেই চতুর্থ বিষয় বাদে কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি এই চারটি বিষয়ের যে কোনো দুটিতে জিপিএ ৫.০০ থাকতে হবে এবং বাকি দুটিতে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান উভয়  পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ মোট মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। এবং একটি নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।

মেডিকেল কলেজসমূহ: প্রার্থীকে ২০১২ বা ২০১৩ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৪ বা ২০১৫ সালে এইচএসসি/সমমান (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানসহ) পরীক্ষায় পাশ করেছে তারা আবেদনযোগ্য। সকল দেশি/বিদেশি শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে; তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম নয়। সকল উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলায় অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৭.০০ হতে হবে; তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম নয়। সকলের জন্য এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। এ বিষয়টি বেসরকারি মেডিকেল এ ভর্তিচ্ছু বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ক ইউনিট) : প্রার্থীকে ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বা সমমান এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ একত্রে মোট জিপিএ অন্তত ৮.০০ পেতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : এ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ) ও ডি ইউনটে (জীব বিজ্ঞান অনুষদ) আবেদনের জন্য প্রার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.০০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : যে সকল ছাত্র-ছাত্রী ২০১২ বা ২০১৩ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৫ সালে এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭.৫০ এর নীচে নয় এবং আলাদা আলাদাভাবে ৩.০০ এর নীচে নয় তারা আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : প্রার্থীকে ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : এ ইউনিটি/বিজ্ঞান অনুষদ ও আই ইউনিট/ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা এবং ২০১৪/২০১৫ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ছাড়া মোট জিপিএ ৬.৫০ এবং উভয়টিতে ন্যূনতম ৩.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রার্থীকে ২০১২ বা ২০১৩ সালে এসএসসি/সমমান এবং শুধু ২০১৫ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে সমষ্টিগতভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৭.০০ পেতে হবে এবং আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ পেতে হবে। এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত (এসএসসির ক্ষেত্রে দেখতে হবে) এবং জীববিদ্যা আলাদা বিষয় হিসেবে থাকতে হবে। এইচএসসিতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান এবং বাংলাতে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : বিজ্ঞান গ্রুপে ২০১২/২০১৩ সালে মাধ্যমিক /সমমান এবং ২০১৪/২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.০০ সহ সর্বমোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। উভয় পরীক্ষায় ইংরেজিতে ন্যূন্যতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন গণিত এবং জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম ৩.০০ থাকতে হবে।

পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রার্থীকে ২০১২ এবং ২০১৩ সালের এসএসসি/সমমান পরীক্ষা এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা মিলে সন্বনিম্ন জিপিএ ৮.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে।
 
***[ ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গ্রন্থিত। তবে এবারের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কিছু পরিবর্তন হতে পারে।]***
জেনে নিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় সূচিঃ

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন