যেসব বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি ধাতু এবং শব্দের আগে বসে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায়, তাদের বলা হয় উপসর্গ। যেমনঃ প্র, পরা, নির, পরি ইত্যাদি।
একটা গল্প শুনিঃ
পাতি নামের মেয়েটি অজ, মূর্খ, অঘারাম। সাহা নামের ছেলেটি অনার্স পাশ। এদের আকদ (বিয়ে) হবে এটা এটা কুউন কথা! ইতি নামের মেয়েটি সাহাকে পছন্দ করে। সে তার বন্ধুদের নির্দেশ দিল পাতিকে আড়ে আন। তার বন্ধুরা পাতিকে নিয়ে আসার পর ইতিকে বললো, “আব (এখন) বস্তায় ভর।”
এবার এই গল্পটাকে সংক্ষিপ্ত করে এভাবে লেখা যায়ঃ
পাতি অজ, অঘারাম। সাহা অনাস। কুউন আকদ! আড়ে আন। আব ভর ইতি।খাটি বাংলা উপসর্গঃ
পাতি, অজ, অঘা, রাম, সা, হা, অনা, স, কু, উন, আ, কদ, আড়, আন, আব, ভর, ইতি, আ,সু,নি,বি =২১ টিআ,সু,নি,বি খাটি বাংলা এবং তৎসম দুই ধরণের উপসর্গেই আছে। তাই এরা কমন। বাকী যা থাকে সেগুলো সবই (বিদেশী ছাড়া) তৎসম উপসর্গ (২০টি)। কাজেই এই সংক্ষিপ্ত গল্পটা মনে রাখতে পারলেই উপসর্গের খেল খতম ইনশাল্লাহ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন